সালেহ্ বিপ্লব: [২] তিস্তা নদীর সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার মহাপরিকল্পনা নিয়ে চীন ও ভারতের মধ্যে যাদের প্রস্তাব বেশি লাভজনক হবে, সেটাই বাংলাদেশ গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।

[৩] মঙ্গলবার গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এও বলেছেন, ভারত যদি আমাদের তিস্তা প্রজেক্টটা করে দেয়, তাহলে আমাদের সব সমস্যারই তো সমাধান হয়ে গেল। তো সেটাই আমার জন্য সহজ হলো না?

[৪] ভারত সফরের অভিজ্ঞতা জানাতে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্য প্রসঙ্গের পাশাপাশি তিস্তার বিষয়টি গুরুত্ব পায়।

[৫] দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের প্রসঙ্গ ধরে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, গঙ্গা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি নবায়ন ও বাংলাদেশে তিস্তা নদীর পানি ব্যবস্থাপনা ও পানি সংরক্ষণের প্রকল্পে ভারতের সহায়তার ব্যাপারে আমরা আলোচনা করেছি। তবে এর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে নিষ্পত্তি না হওয়া তিস্তার পানি ভাগাভাগির কোনো সম্পর্ক নেই। আমাদের যে তিস্তা প্রজেক্ট, সেই তিস্তা প্রজেক্টটাই আমরা ভারতের সহযোগিতায় করব, আমরা সেই আশ্বাস পেয়েছি।

[৬] এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদেরকে চীন প্রস্তাব দিয়েছে, ভারতও প্রস্তাব দিয়েছে। অবশ্যই আমি এটা বিবেচনা করব, কোন প্রস্তাবটা করলে পরে আমার দেশের মানুষের, আমার দেশের কল্যাণে আসবে, আমি সেটাই করব।

[৭] তিনি বলেন, লোন কতটুকু নিলাম, কতটুকু আমাকে শোধ দিতে হবে, কতটুকু পাব, এই সবগুলো বিবেচনা করেই তো আমাদের করতে হবে। সেক্ষেত্রে ভারত যখন বলেছে যে তারা করতে চায় এবং তারা টেকনিক্যাল গ্রুপ পাঠাবে, অবশ্যই তারা আসবে। আমরা যৌথভাবে সেটা দেখব।

[৮] প্রধানমন্ত্রী বলেন, চীন একটা ফিজিবিলিটি স্টাডি করেছে, ভারতও একটা করবে। আমাদের কাছে যেটা সবথেকে বেশি গ্রহণযোগ্য, লাভজনক, আমরা সেটাই করব।

[৯] শেখ হাসিনা বলেন, ভারত যখন এগিয়ে আসছে, আমরা যদি এটা করি, তাহলে পানি নিয়ে আর প্রতিদিন প্যাঁ প্যাঁ করতে হবে না। আমরা সেই সুবিধাটা পাব। কাজেই আমি তো এখানে কোনো সমস্যা দেখি না। সম্পাদনা: ইকবাল খান